আহমেদাবাদ, ১ জুন: হাসপাতালের গাফিলতিতে নাজেহাল এক পরিবার৷ সামনে এলো আহমেদাবাদের সিভিল হাসপাতালে চূড়ান্ত অবহেলার খবর৷ দাহ করে ফেরার পর পরিবারকে জানানো হল করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তি জীবিত রয়েছেন। এমনকী তিনি নাকি ধীরে ধীরে সুস্থ হচ্ছেন বলেও হাসপাতাল থেকে খবর দেওয়া হল পরিবারের কাছে৷ এ খবর শুনে হতবাক পরিবার৷ এখন তাদের প্রশ্ন, তাহলে যার দেহ তারা দাহ করলেন, তিনি কে?
উল্লেখ্য, দেবরামভাই ভিসিকর করোনার উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হন হাসপাতালে৷ কিন্তু পরবর্তীতে হাসপাতাল থেকে খবর দেওয়া হয়, তার অবস্থার অবনতি হয়েছে, তিনি মারা গেছেন। দেহ পরিবারকে হস্তান্তর করে জানানো হয়েছিল, এটাই দেবরামভাইয়ের মরদেহ। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের নির্দেশিত নির্দেশিকা এবং সতর্কতামূলক পদক্ষেপগুলি মেনে পরিবারটি মৃত ব্যক্তির মরদেহ ব্যাগটি না খুলেই শেষকৃত্য সম্পন্ন করে। দেহ দাহ করার পরই দেবরামভাইয়ের পরিবারের লোককে আহমেদাবাদ সিভিল হাসপাতাল থেকে খবর দেওয়া হয়, দেবরামভাই করোনা চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন। আর এতেই পরিবারের লোকজন হতবাক হয়ে যান৷
২৮ মে হাসপাতালে ভর্তি হন দেবরামভাই, ২৯ মে তাঁর মৃত্যু হয়৷ মৃত্যুর আগে লালারস পরীক্ষা হলেও দেহ হস্তান্তরের আগে রিপোর্ট আসেনি৷ তাই মৃতদেহের ব্যাগ খুলতে বিরত থাকার মতো সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া এবং তাড়াতাড়ি মরদেহ দাহ করা জরুরি বলে মনে করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: প্রথম বিমানে চড়ে খুশি পরিযায়ী শ্রমিকরা
দেবরামভাইয়ের আত্মীয় নীলেশভাই জানিয়েছেন, তাদের প্রিয়জন বেঁচে আছেন কি না তা নিয়ে পরিবার এখনও বিভ্রান্ত। প্রকৃতপক্ষে, নীলেশভাই বলেছিলেন যে, দেবরামভাইয়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি সম্পর্কে ফোন কল পাওয়ার পরে পরিবার যখন ৩০ মে হাসপাতালে যোগাযোগ করেছিল, তখন তাদের বলা হয়েছিল যে তাদের কাছে করা কলটি হাসপাতালের কর্মীদের এবং তাদের পরিবারকে ভুল করে ফোন করা হতে পারে। তাদের পরিবারের সদস্য ২৯ মে মারা গিয়েছিল। কিন্তু হাসপাতালের তরফে দ্বিতীয়বার হাসপাতালে ডেকে জানানো হয় দেবরামভাইয়ের করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে এবং তার স্বাস্থ্যের উন্নতি হচ্ছে।
আহমেদাবাদ সিভিল হাসপাতালের চিকিৎসক শশাঙ্ক জে পান্ডা বলেছেন, রোগীকে যখন হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়, তখন তাঁর সুগার ৫০০ ছিল এবং শ্বাস নিতে সমস্যা হয়েছিল যার ফলে দেবরামভাইয়ের মৃত্যু হয়। রোগীর করোনা রিপোর্ট না আসায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের নির্দেশিত নির্দেশিকা এবং সতর্কতামূলক পদক্ষেপগুলি মেনে পরিবারটি মৃত ব্যক্তির মরদেহ ব্যাগটি না খুলেই শেষকৃত্য সম্পন্ন করে। তাই মরদেহ পরিবারের তরফে শনাক্ত করা হয়নি।