করোনা ভাইরাস নিয়ে উঠছে চক্রান্তের প্রশ্ন। চিন আক্রান্ত। শুধু চিন নয়। অন্তত আঠারোটি দেশ আক্রান্ত। আরও বারোটি দেশ আক্রান্ত হতে পারে। তবে ভীষণভাবে আক্রান্ত চিনে মৃত্যুর সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। গতকাল পর্যন্ত ২১৩। আক্রমণকারী নোভেল করোনা ভাইরাস। উট, বাদুড়, বিড়াল থেকে যার উৎপত্তি। এই প্রাণীদের মধ্যেই কেবল সংক্রামিত হতো। কিন্তু এক্ষেত্রে প্রাণী থেকে মানুষের মধ্যে সংক্রামণ এমনভাবে ছড়িয়ে পড়েছে, যার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। এর জন্য ইজরায়েল আর আমেরিকা চিনকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে চাইছে। তারা বলছে চিন নাকি জীবাণু যুদ্ধের জন্য তৈরি হতে গোপনে সামরিক গবেষণা চালাচ্ছে। তার এই নমুনার ফল। ইজরায়েল হল আমেরিকার দোসর। যুদ্ধ যাদের কাছে খেলার মতো। আজকের দিনে শক্তিশালী সেই যার কাছে যত বেশি অত্যাধুনিক মারণাস্ত্র আছে। সেদিক থেকে সেই খেলার শক্তিশালী খেলোয়াড় হল আমেরিকা। মধ্যপ্রাচ্যে যার নোংরা খেলায় প্রতিনিয়ত বাতাস ভরে উঠছে বারুদের গন্ধ। অথচ চিনকে মারণ খেলার ষড়যন্ত্রকারী বলে আঙুল তুলছে আমেরিকা। কারণ সে জানে তার বিকল্প শক্তি হিসাবে উলটো দিকে দাঁড়িয়ে আছে চিন। তাই এই সুযোগে চিনের দিকে আঙুল তুলে কি আমেরিকা নিজেকে মানবদরদী হিসাবে দেখাতে চাইছে?
আরও পড়ুন: কোনও রকম মদত ছাড়া পুলিশের সামনে বন্দুক নিয়ে আক্রমণ চালানো কি সম্ভব?
আর একদিকে চিনের এই অবস্থায় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে দুই প্রথম সারির শিল্পপতি- একজন হলেন চিনের জ্যাক মা আর একজন হলেন মাইক্রোসফট খ্যাত আমেরিকান বিল গেটস। এখানে একটি কথা বলা যেতে পারে, করোনা ভাইরাসজনিত রোগের প্রতিষেধক যখন এখনও আবিষ্কার হয়নি, হয়তো সেই প্রতিষেধক আবিষ্কারের জন্য এই শিল্পপতিদের মহানুভবতা। তা খুলে না বললেও চলে।
চিনকে আমেরিকার সন্দেহ আর শিল্পপতিদের সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসা থেকে আর একটি কথা বলা যেতে পারে। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রাণীদের থেকে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার পিছনে সত্যি কোনও গভীর চক্রান্ত নেই তো? করোনা ভাইরাস নিয়ে উঠছে চক্রান্তের প্রশ্ন