মিডিয়া উইন্ডো ওয়েব ডেস্ক: পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য পিএম কেয়ার ফান্ড থেকে ১০০০ কোটি টাকা, বিনামূল্যে মাথাপিছু ৫ কেজি চাল বা গম, ভাড়া বাড়ির প্রকল্পও ঘোষণা করেছে কেন্দ্র৷ এ দিনই অর্থমন্ত্রীর পঞ্চম এবং শেষ দফা প্যাকেজ ঘোষণায় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন পরিযায়ী শ্রমিকদের মনরেগা প্রকল্পে কাজ দেওয়ার জন্য আরও ৪০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের ঘোষণা করেছেন৷ তারপরেও পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে কেন্দ্রের সমালোচনায় সরব কংগ্রেস সহ বিরোধীরা৷ আর তাই পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে রাজনীতি না করে একসঙ্গে আলোচনায় বসার জন্য হাতজোড় করে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে অনুরোধ করলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন৷
পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে কেন্দ্রের ভূমিকায় বিরোধীদের সমালোচনার জবাব দিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বিরোধীদের আমি বলতে চাই, পরিযায়ী শ্রমিকদের সমস্যা মেটাতে আমাদের সবাইকে একসঙ্গে করতে হবে৷ আমরা এই সমস্যা নিয়ে সব রাজ্যের সঙ্গে একযোগে কাজ করছি৷ আমি হাতজোড় করে সোনিয়াজিকে অনুরোধ করব, পরিযায়ী শ্রমিকদের সমস্যা নিয়ে আমাদের কথা বলা উচিত এবং আরও দায়িত্বশীল হয়ে এই সমস্যার সমাধান করা উচিত৷’
আরও পড়ুন: লকডাউনে জন্ম, যমজ বাচ্চার নাম রাখা হলো করোনা ও কোভিড
লকডাউনের জেরে কাজ হারিয়ে এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে ফিরছেন কোটি কোটি পরিযায়ী শ্রমিক৷ শ্রমিকদের ফেরাতে স্পেশাল ট্রেন চালু হলেও তার টিকিট কাটতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে কংগ্রেস৷ প্রায় প্রতিদিনই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাচ্ছেন অনেক শ্রমিক৷ এই পরিস্থিতির জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের উদাসিনতা এবং অদূরদর্শিতাকেই দায়ী করেছেন বিরোধীরা৷ চাপে পড়ে পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য দু’মাসের রেশনের ব্যবস্থা করেছে কেন্দ্র৷ আবার শনিবার দিল্লির সুখবিহার এলাকায় আম্বালা থেকে ঝাঁসির পথে হাঁটতে থাকা ২০ জন পরিযায়ী শ্রমিকের একটি দলের সঙ্গে রাস্তায় বসে কথা বলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী। ৫০ দিন লকডাউনে ঠিকভাবে খেতে না পাওয়ার কথাও শোনেন তিনি। রাহুল গান্ধীর তরফ থেকে তাঁদের খাবার ও মাস্ক দেওয়া হয়। রাহুল গান্ধীর অনুরোধে দিল্লির প্রদেশ কংগ্রেসের সদস্যরা সামাজিক দূরত্ব অনুসরণ করে ৮-১০টা গাড়ির ব্যবস্থা করে দলটিকে গ্রামে ফিরে যাওয়ার ব্যবস্থা করে। এই খবর এবং ছবি প্রকাশ পাওয়ার পরই নির্মলা সিতারামনের এই আবেদন বলে মনে করা হচ্ছে।