
উত্তরপ্রদেশে ভোটের বাদ্যি বাজতেই গেরুয়া শিবিরে ভাঙন ধরতে শুরু করে। একে একে দল ছাড়েন বেশ কয়েকজন নেতা-মন্ত্রী। মূলত দলিত নেতারাই গেরুয়া শিবির ত্যাগ করেছিলেন বঞ্চনার অভিযোগ তুলে। স্বভাবতই ভোটের আগে এই ধরনের ধাক্কা সামলাতে এবার দলিত তাস খেলল বিজেপি। শনিবার প্রকাশিত হল উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনে দলের চতুর্থ প্রার্থী তালিকা। সেখানে ৮৫ জনের নাম রয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৪৯ জনই ওবিসি ও তফসিলি জাতির প্রতিনিধি।
এবারের নির্বাচন যে বেশ কঠিন হতে চলেছে বিজেপির জন্য তা প্রথমে বোঝা যায়নি। মনে করা হচ্ছিল, যোগী আদিত্যনাথের প্রত্যাবর্তন স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু ক্রমেই বোঝা যায়, ভিতরে ভিতরে মরিয়া লড়াই দিতে প্রস্তুত অখিলেশও। একে একে বিজেপির ১৩ জন দলিত বিধায়ক সমাজবাদী পার্টিতে যোগ দিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন তিন জন মন্ত্রী। স্বাভাবিক ভাবেই বেকায়দায় যোগী। এদিকে কংগ্রেস ও মায়াবতীর বহুজন সমাজ পার্টি কী ভূমিকা নেয় তাও দেখার। গতকালই প্রার্থী তালিকা প্রকাশের সময় প্রয়োজন পড়লে অন্য দলকে সমর্থনের কথা বলেছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। ফলে তেমন হলে অখিলেশকে কংগ্রেস সমর্থন করতেই পারে। সেই কারণেই জমে গিয়েছে ভোটরঙ্গ।
আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু উত্তরপ্রদেশের নির্বাচন। পুরোদস্তুর বেজে গিয়েছে ভোটের দামামা। এই পরিস্থিতিতে ওবিসি তাস খেলে নিজেদের অবস্থান আরও মজবুত করতে বিজেপি যে মরিয়া তা প্রমাণ করল শনিবার প্রকাশিত প্রার্থী তালিকা। এখন দেখার ভোটের ফলাফল কি দাঁড়ায়।